বাংলাদেশে আলু চাষ দেশের অন্যতম লাভজনক কৃষি কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত, তবে সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা না হলে লোকসানের ঝুঁকিও থাকে। আলু দেশের প্রধান খাদ্যশস্যের একটি হওয়ায় এর চাহিদা সারাবছরই স্থির থাকে। সাধারণত রবি মৌসুমে আলু চাষ করা হয়, যেখানে ভালো মানের বীজ, সঠিক জমি প্রস্তুতি, সেচ ও কীটনাশক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে ফলন তুলনামূলক বেশি হয়। আলুর উৎপাদন খরচের বড় অংশ বীজ, সার, শ্রম ও সেচের ওপর নির্ভর করে। বিশেষ করে বীজ আলুর দাম বেশি হওয়ায় মোট খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।


লাভ নির্ভর করে প্রধানত বাজারদরের ওপর। মৌসুমের শুরুতে আলুর দাম বেশি থাকলেও মৌসুমের শেষদিকে দামে ওঠানামা দেখা যায়। অনেক সময় অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণে বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কমে যায়, ফলে চাষীরা ন্যায্যমূল্য পায় না। আবার ঠাণ্ডা সংরক্ষণে (কোল্ড স্টোরেজ) আলু রাখার খরচও কৃষকের লাভে প্রভাব ফেলে। যদি বাজারদর সংরক্ষণ খরচের ওপরে না থাকে, তবে লোকসান হতে পারে।


আলুর রোগবালাই যেমন ব্লাইট, পচন ইত্যাদি সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রণ না করলে উৎপাদন হ্রাস পায় এবং খরচ বেড়ে যায়। তবে আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত বীজ, সুষম সার ব্যবস্থাপনা, বাজার বিশ্লেষণ এবং সঠিক সময়ে বিক্রি করতে পারলে আলু চাষে উল্লেখযোগ্য লাভ পাওয়া সম্ভব


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url